advetrisement
স্পোর্টস ডেস্ক :: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালে চিটাগং কিংসের প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন ভেঙে টানা দ্বিতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল।
আজ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালে মিরপুর শের-এ বাংলা স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান করে চিটাগং । জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৩ ওভারে ৩ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। আর তাতেই বিপিএল ইতিহাসের ফাইনালে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় তুলে নেয় বরিশাল।
১৯৫ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় ফরচুন বরিশাল। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও তাওহিদ হৃদয় গড়েন ৭৬ রানের জুটি। অধিনায়ক তামিম ২৫ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। উড়ন্ত বরিশালকে মাটিতে নামিয়ে আনেন শরিফুল ইসলাম। নবম ওভারে তামিম ও ডাভিদ মালানের উইকেট তুলে নেন এ পেসার। মালান ফিরেছেন মাত্র ১ রানে। হৃদয়ও এদিন জ্বলে উঠতে পারেননি। ২৮ বল খেলে করেছেন মাত্র ৩২ রান। তবে ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন রিশাদ হোসেন। ৬ বলে ১৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন রিশাদ।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে চিটাগংকে দারুণ শুরু এনে দেয় ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও খাজা নাফে জুটি। বিপিএল ফাইনালে প্রথমবারের মত একই দলের দুই ওপেনার অর্ধ-শতক করেছেন। ইনিংসের শুরু থেকেই বরিশাল বোলারদের রীতিমত শাসন করেছেন এ দুই ব্যাটার। কোনো উইকেট না হারিয়ে পাওয়ারপ্লেতে ৫৭ রান তোলে চিটাগং। ইমন ৩০ বলে তুলে নেন অর্ধ-শতক। দলীয় ১২১ রানের মাথায় ইবাদত হোসেনের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন নাফে। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ৬৬ রান।
তবে নাফের ফিরে যাওয়াতে রানের চাকা থামতে দেননি ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্ক। রান আউটে কাটা পরার আগে ক্লার্কের ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ৪৪ রান। ইমন অপরাজিত থাকেন ৪৯ বলে ৭৮ রানে।
তবে চিটাগংয়ের রান আরও বেশি হতে পারতো। তবে ব্যাটারদের বেধে রেখেছেন মোহাম্মদ আলি। ৪ ওভার বল করে মাত্র ২১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানের এই পেস বোলার।